ইশরাককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেয়র না করলে কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫ — ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শপথ গ্রহণের সুযোগ না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা অভিযোগ করেছেন, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট সত্ত্বেও সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে।(“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ, Prothomalo)
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ইশরাক হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রফিকুল ইসলাম রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আদালতের রায়ে ইশরাক হোসেন বৈধ মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। এরপরও যদি সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করে, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ মার্চ আদালত ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করে ইশরাককে মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।(“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ, Prothomalo)
তবে গেজেটে মেয়াদের বিষয়ে কোনো স্পষ্টতা না থাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “উনি (ইশরাক) কতদিন মেয়র পদে থাকতে পারবেন বা আদৌ থাকতে পারবেন কি না, এসব বিষয়ই নির্ভর করে স্থানীয় সরকারের (মন্ত্রণালয়) ওপর।” (“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ)
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে। তারা বলছেন, “আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট সত্ত্বেও যদি শপথ গ্রহণে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে তা আইনের শাসনের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে বিবেচিত হবে।”(“Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ)
এদিকে, ইশরাক হোসেন বলেছেন, “আমি আদালতের রায়ে বৈধ মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এখন শপথ গ্রহণের জন্য সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন।”
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে ডিএসসিসির বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তাই শপথ গ্রহণের জন্য সময় সীমিত। এই পরিস্থিতিতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।(“Khaborer Kagoj-